কক্সবাজারের পেকুয়া থানায় দায়ের করা ৫০ হাজার ইয়াবার চালান উদ্ধারের একটি মামলার তৈরি করা অভিযোগপত্র সাড়ে ৭ মাস পর আদালতে উপস্থাপনের ঘটনায় চরম গাফিলতির জন্য বিচারক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে মামলার অভিযোগপত্রটি আদালতে সঠিক সময়ে উপস্থাপন না করার জন্য কে বা কারা দায়ী তা তদন্ত করে এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের (চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) বিচারক আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী গতকাল মঙ্গলবার এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গেল বছরের ১২ ডিসেম্বর পেকুয়া থানার তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী ৫০ হাজার ইয়াবার চালানসহ ৭ জন পাচারকারিকে আটক করেন। ওইদিন তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা একই থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হোসেন তদন্ত সমাপ্ত করে গত ৩০ জানুয়ারি সব আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এমনকি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কর্তৃক একই তারিখে উক্ত অভিযোগপত্রটি অগ্রবর্তী করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে, প্রায় ৭ (সাত) মাস ১৪ দিন পর গত ১৪ আগস্ট উক্ত অভিযোগপত্রটি সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
বিচারক নথি পর্যালোচনায় আরো দেখতে পান যে, তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্ত কাজ সমাপ্তির পরে এবং অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর হওয়া সত্ত্বেও উক্ত অভিযোগপত্রটি আদালতে প্রেরিত না হওয়ায় কিংবা আদালতে সঠিক সময়ে উপস্থাপিত হয়নি। এরকম বিলম্বের কারণে উল্টো আসামিরাই লাভবান হয় বলে বিচারক উল্লেখ করেন।
একটি মামলার অভিযোগপত্র তৈরি হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে আদালতে উপস্থাপন না হওয়ায় কে বা কারা দায়ী সেটা তদন্তের জন্য বিচারক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তা আদালতকে অবহিত করার জন্য বলেছেন।
পাঠকের মতামত